1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসি থেকে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে বিল পাস আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার দুর্গাপূজায় মণ্ডপ আর না বাড়ানোর অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রংপুরে ১২৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হতে পারে তারেক-জোবাইদাকে, আশঙ্কা বিএনপির বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেবো না, তবে জনগণের ক্ষতি করলে রেহাই নয়: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল সংসদে

দখলমুক্ত হলো বাঁকখালী নদীর ২৫০ একর জায়গা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৩

অবশেষে কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল ব্রিজ সংলগ্ন কস্তুরাঘাটের বাঁকখালী নদীর তলদেশ দখল করে গড়ে উঠা ২৫০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে দখলমুক্ত করা হয়েছে নদীর ২৫০ একর জায়গা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারি অন্যান্য সংস্থা এক যৌথ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। 

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্বদানকারী কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশমতে ব্রিটিশ আমলের (১৯২৯ সাল) রিভিশনাল সার্ভে (আরএস) মতে নদীকে রক্ষা করার জন্য উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। আগামিকালও (আজ) অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

তিনি জানান, দখলবাজরা নানা ধরনের কাগজপত্র দেখিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বাঁকখালী নদীর তলদেশ ও তীরবর্তী শত শত একর জমি দখল করে আসছিল। এ জমি বিআইডাব্লিউটিএ-কে বুঝিয়ে দওয়ার জন্য হাইকোর্টের রায় রয়েছে। কোনভাবেই নদী দখলের প্রশ্নে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ.ন.ম হেলাল উদ্দিন জানান, তিন-চার দশক আগেও বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে স্টিমার ভিড়ত। এমনকি এক দশক আগে সেখানে জাপানি একটি পরিবেশবাদী সংগঠন প্যারাবনের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু দখলবজারা সেই প্যারাবন কেটে নদীর তলদেশ ভরাটের পর গড়ে তোলে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি। কৌশলে নেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগও। গত এক বছরে এক হাজার একর প্যারাবন উজাড় করা হয়েছে। নদী তীরের ৬০০ হেক্টর প্যারাবন নিধন করে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলে। তিনি জানান,  কক্সবাজার শহরের বর্ধিত এলাকা খুরুশকুল হচ্ছে এখন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। সরকার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীতে ব্রিজ নির্মাণ করছে। দখলের কারণে নদী হারিয়েছে নাব্যতা। সেই সাথে হারিয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। 

উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে দুপুর ১টার দিকে উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা দেয় তালিকাভুক্ত শতাধিক দখলদারের অন্যতম ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত মহেশখালী দ্বীপের শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আবদুল খালেক। এ সময় উক্ত চেয়ারম্যান ও তার নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একদল লোক সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান বলে সংবাদকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। হামলায় কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন কলেও জানান তারা। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল খালেক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি দলিলমূলে নদী তীরের জমিতে রয়েছেন। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে জানান, আবদুল খালেক চেয়ারম্যান হচ্ছেন নদী দখলদার তালিকার অন্যতম ব্যক্তি। তার বেশ কয়েকটি অবৈধ ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পেয়েছেন বলেও জানান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews