রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতির খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য জানান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডে যে শুটার ছিল সে হেলমেট ও মাস্ক পরা ছিল। মোটরসাইকেল চালকও হেলমেট পরে ছিল। সেজন্য বাইক চালক ও শুটারকে শনাক্ত করতে সময় লাগছে। এরইমধ্যে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ হত্যাকাণ্ড আধিপত্যের জেরে নাকি রাজনৈতিক বিরোধে—এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই শুটার এবং মোটরসাইকেল চালককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে শাহজাহানপুর রেলগেটের পাশে জ্যামে আটকে থাকা প্রাইভেটকারে মতিঝিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। এ সময় রিকশায় থাকায় বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতির গায়েও গুলি লাগে। পরবর্তীতে দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পরে শাজাহানপুর থানায় জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ড নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি হত্যা মামলা দায়ের করেন।