করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বাইরে বিক্রির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
রবিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আইনি প্রক্রিয়া। যে লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করছে। আর স্বাস্থ্য অধিদফতরও এ ঘটনায় আলাদা তদন্ত করছে। কেউ এ ঘটনায় জড়িত কি না- সে বিষয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ছাড়াও এদিন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘নিবন্ধন করেও অনেকে টিকা পাচ্ছেন না। টিকার জট খুলতে কেন্দ্রগুলোতে বুথ বাড়ানো এবং প্রয়োজনে সাবসেন্টার করার নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেওয়া হয়েছে। যারা নিবন্ধন করেছেন তারা সবাই টিকা পাবেন। দয়া করে এসএমএস না এলে কেউ টিকাদান কেন্দ্রে যাবেন না।’
এ সময় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট রাতে দক্ষিণখানের দরিদ্র পরিবার সেবাসংস্থা নামের ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় মডার্নার ভ্যাকসিনের দুটি ভায়াল (প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ টিকা থাকে) উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেখান থেকে মডার্নার ভ্যাকসিনের খালি ভায়ালসহ ২১টি খালি প্যাকেটও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতার বিজয় কৃষ্ণ নিজেকে একজন প্যারামেডিক বলে দাবি করেছেন। তার ফার্মেসিতে অবৈধভাবে মডার্নার টিকা দেওয়া হতো। তবে কোথা থেকে তিনি ওই টিকা পেলেন, তা জানা যায়নি। বিজয় কৃষ্ণ পল্লী চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দাবি করলেও এ বিষয়ে কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।