মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ বছর করার পরিকল্পনা করছে সরকার, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ সম্প্রসারণ এবং ওপিডি উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করছি টিকার জন্য বয়সসীমা আরো কমিয়ে আনা যায় কি না। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একটা নির্দেশনা আছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিও গতকাল আমাদের জানিয়েছে ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া যায় কি না।’
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজে পাঠাতে চাই। শিক্ষকদের টিকা দিচ্ছি, এখন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছে, তাদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসবো। তাদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার সুযোগ করে দেব। কারণ তাদের জীবনের বড় একটা সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।
দেশে গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। শুরুতে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারতেন। আর গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ৩৫ বছর হলেই টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। তবে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় সম্মুখসারিতে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য এই বয়সসীমা প্রযোজ্য নয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চীন থেকে সম্প্রতি ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এই টিকার বাইরে চীন থেকেই আরও দেড় কোটি ডোজ টিকা আসবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে চলতি মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা আসবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্রোরা, নাসিমা সুলতানা ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ।