ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বন্যাকবলিত দেশগুলোতে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। বন্যায় এ পর্যন্ত জার্মানিতে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। নিহতদের মধ্যে ৯০ জনই জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের। বন্যার পর এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। শনিবার দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা পশ্চিম জার্মানির বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। গত কয়েকদিনে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়া দেশটির শহরগুলোতে ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ৭শর বেশি বাসিন্দাকে ওয়াসেনবার্গ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গেল কয়েকদিনের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া ও রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট। এখনো যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এসব অঞ্চলে।
বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টেইনমিয়ার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। জার্মানির এবারের নির্বাচনে বন্যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল বার্লিন থেকে জার্মানির প্রেসিডেন্ট বলেন, পুরো জার্মানি বন্যাদুর্গতদের পাশে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতির এই তাণ্ডব আমাকে স্তম্ভিত করেছে।’
জার্মানির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল সিডিইউ-এর প্রধান আরমিন লাশেটেরও নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়ার পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। তিনি সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেবেন। অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের অন্যতম বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সঙ্গী হিসেবে পরিচিত লাশেট ৷