দাম্পত্যকলহের জের ধরে স্বামীকে না বলেই স্ত্রী চলে গেছেন বাবার বাসায়। এরপর স্বামী দুই হাতে দুই চাপাতি নিয়ে শ্বশুরের বাসার গিয়ে পৌঁছলেন স্ত্রীকে খুন করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু শ্বশুর বাসায় গিয়ে স্বামীর উদ্দেশ্য সফল হয়নি, উল্টো কৌশলে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। আর পুলিশ যথারীতি আদালতের মাধ্যমে স্বামীকে পাঠিয়েছে শ্রীঘরে।
এমন ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার রাত ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার পূর্ব গোসাইলডাঙ্গা এলাকার মিনু ম্যানশনের পঞ্চম তলার বাসায়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুজন দাস (৪২)। তিনি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার পূর্ব মেঘল গ্রামের মৃত সাধন দামের ছেলে। সুজনের স্ত্রী সুতৃঞ্চা দাস পূর্ব গোলাইলডাঙ্গা এলাকার তপন দাশের মেয়ে। এই দম্পত্তি নগরীর কোতোয়ালী থানার আসকার দিঘির পাড় এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঘটনার বিষয়ে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পুরনো গাড়ি ব্যবসায়ী সুজনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন এবং মাদকাসক্ত। দুই কন্যা সন্তানের জননী স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। গত শুক্রবারও ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর স্বামীকে না বলে তিনি বাবার বাসায় চলে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই সুজন দুটি চাপাতি হাতে নিয়ে শ্বশুর বাসায় যান স্ত্রীকে খুন করতে।
বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে সুজনের হাতে দুটি চাপাাতি থাকার দৃশ্য দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে, সুজন সত্যিই দুটি চাপাতি গিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করতে গেছে। এই কারণে তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার সুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।