গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলনে আংশিক কমিটি ঘোষণার পরই সভাস্থলে মন্ত্রী-এমপির সামনে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিত নেতা ও তাদের অনুসারীরা। এ সময় শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার তছনছ করা হয়। বুধবার (২ নভেম্বর) বিকালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারীকে সভাপতি, মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য ফাইজুল আলম দিলীপকে সহ-সভাপতি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শফিকুল ইসলাম শফি, আমির হোসেন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য রাকিব সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক ঘোষণা করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। এ কমিটি পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে বলে জানানো হয়।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাসন থানা কমিটিতে সভাপতি পদে তিন জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে সভাপতি পদের প্রার্থীরা আব্দুল বারীকে সমর্থন দিয়ে নিজেরা সরে যান।
সভাপতি পদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারী আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং শফিকুল ইসলাম শফি, আমির হোসেন ও রাকিব সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরপরই একটি পক্ষ বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা সম্মেলনস্থলে থাকা প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর ও আশপাশে থাকা সম্মেলন উপলক্ষে টানানো বিভিন্ন প্রার্থীর ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে তছনছ করেন। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন সরকার রিপনের সভাপত্বি সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমপি মির্জা আজম, মেহের আফরোজ চুমকি ও গাজীপুরের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভুইয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন বলেন, নতুন ঘোষিত কমিটিতে কোনও প্রার্থী কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা এ কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। তারা নতুন কমিটি ঘোষণা শেষ হওয়া মাত্রই উত্তেজিত হয়ে সভাস্থলের শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর ও তছনছ করে।