গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৮১০ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৪৬৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ পাঁচ হাজার ৩৩৩ জন। মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৮ জন ও ৮৯ জন নারী।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৪৫৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫২২ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭০৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫২২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪১ হাজার ৭৫১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ হাজার ৬৪১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯০টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগে আট জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন, সিলেট বিভাগে আট জন, রংপুর বিভাগে নয় জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩২ জন এবং বাড়িতে নয় জন মারা যান।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়,শূন্য থেকে ১০ বছরের এক জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিন জন এবং ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন দুই হাজার ৪০০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৬৮৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৩৯ হাজার ৪৭১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৫৬ হাজার ১৬৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮৩ হাজার ৩০৪ জন।