গত দশকের (১ জানুয়ারি ২০১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯) সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যেখানে সেরা বোলার, সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা ক্রিকেটারসহ নানান ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে পুরস্কার।
এ পুরস্কারের দৌড়ে অন্য সবার চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পুরস্কারটি তিনি পাবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এর আগে জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়ে দিয়েছে, গত এক দশকে কোহলিই ছিলেন বিশ্বের ব্যস্ততম ক্রিকেটার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য গত দশকে গড়ে প্রতি বছর ৬৭ দিন মাঠেই কাটিয়েছেন কোহলি। এ সময়ের মধ্যে অর্থাৎ দশ বছরে ৬৬৮ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। যেখানে সবচেয়ে বেশি ৩৬৬ দিন কেটেছে টেস্ট খেলতে। এছাড়া ওয়ানডেতে ২২৭ ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৭৫ দিন মাঠে ছিলেন কোহলি।
গত দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততম ক্রিকেটারের তালিকায় পরের চারজন হলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (শ্রীলঙ্কা- ৬০৮ দিন), স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড- ৫৯৩ দিন), রস টেলর (নিউজিল্যান্ড- ৫৭১ দিন) ও জো রুট (ইংল্যান্ড – ৫৬৮ দিন)। এদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৪৯১ দিন মাঠে ছিলেন ব্রড। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির হিসেবে কোহলিই সর্বোচ্চ।
তবে নির্দিষ্ট কোনো বছরে সবচেয়ে বেশিদিন খেলার হিসেবে করলে সেরা পাঁচে নেই কোহলির নাম। ২০১৬ সালে ৯৮ দিন খেলে এ তালিকার শীর্ষে ইংলিশ অলরাউন্ডার মইন আলি ও টেস্ট অধিনায়ক জো রুট। তালিকার পরের নামগুলো যথাক্রমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (২০১৪ সালে ৯৫ দিন), কুমার সাঙ্গাকারা (২০১৪ সালে ৯০ দিন) ও মাইকেল ক্লার্ক (২০১০ সালে ৮৯ দিন)।
দলের হিসেবে গত দশকে সবচেয়ে বেশি মাঠে ছিল ইংল্যান্ড। তিন ফরম্যাট খেলতে ৮৭১ দিন মাঠে থাকতে হয়েছে তাদের। এসময়ে মধ্যে টেস্টে ৫৫৭ দিন, ওয়ানডেতে ২২৩ দিন ও টি-টোয়েন্টির জন্য মাঠে নামতে হয়েছে ইংলিশদের। তাদের চেয়ে বেশিদিন টেস্ট খেলেনি আর কোনো দেশ।
ব্যস্ততার এই তালিকায় পরের নামগুলো হলো যথাক্রমে ভারত (৮৩৫ দিন), অস্ট্রেলিয়া (৮১৫ দিন), শ্রীলঙ্কা (৭৯৪ দিন), পাকিস্তান (৭২০ দিন), নিউজিল্যান্ড (৬৭৫ দিন), দক্ষিণ আফ্রিকা (৬৬৬ দিন), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৬৫৮ দিন) ও বাংলাদেশ (৪৯৯ দিন)।
গত এক দশকে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ২৫১ দিন, ওয়ানডের জন্য মাঠে নেমেছে ১৬৮ দিন ও কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে ৮০ দিন। তিনটি ফরম্যাটেই ম্যাচের সংখ্যা বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ দলগুলোর চেয়ে কম।