1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের মধ্যে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন, দফতর পেলেন নতুন দুই জন শপথ নিলেন তিন উপদেষ্টা পাসপোর্টের তিন পরিচালক এখন ‘টাকার কুমির’ ৪০০ কোটি টাকার মালিক যে পিয়ন  গুজব প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছে সরকার বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে: কাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন সৌদি যুবরাজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করবে সরকার: আসিফ নজরুল মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আকরামুল হক

গণমাধ্যম দেখে দেশ চালাই না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৬৮

গণমাধ্যমে খবর দেখে দেশ পরিচালনা করেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাবা-মায়ের কাছ থেকে শেখা জ্ঞানের ভিত্তিতে দেশ চালান।বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করা একটি শ্রেণির অভ্যাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের একটা বদঅভ্যাস আছে। কথায় কথায় হতাশ হওয়া। যতই কাজ করি তারপরও বলে এটা হলো না কেন? ওটা হলো না কেন? আমি বলতে চাই, এসব না করে আগে কী ছিল আর এখন কী হয়েছে সেটা দেখলে তো হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, “যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা- এই অবস্থায় কিছু লোক ভোগে, আর কিছু লোক এমনিতেই ভোগে। আর মিডিয়া কী লিখলো আর টকশোতে কী বললো সেটা শুনে আমি কখনও দেশ পরিচালনা করি না। দেশ পরিচালনা করি অন্তর থেকে। কারণ, আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন। দরিদ্র মানুষের জন্য তিনি বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। সেই মানুষগুলোর জন্য কী কাজ করতে হবে। সেটা আমি বাবা-মায়ের থেকে শিখেছি। আমি সেটাই কাজে লাগাই। মানুষ তার সুফল পাচ্ছে কী না তা যাচাই করি। কে কী বললো, ওটা শুনে হতাশ হওয়া বা উৎসাহিত হওয়া আমার সাজে না। আমি তা করি না।”

স্বাধীনতার ঘোষক সম্পর্কে যা বললেন

২৫ বছর দেশে বিকৃত ইতিহাস শেখানো হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন সারা দেশে বেরিকেড দেওয়া হয়, তখন চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি সেনাদের হয়ে বেরিকেড দেওয়া লোকদের ওপর গুলি চালায়। এরপর সে গেলো সোয়াদ জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে। সেখানে পাবলিক ঘেরাও দিয়ে তাকে আটকালো।’

স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লো। সংগ্রাম পরিষদের নেতারা ঘোষণা সংগ্রহ করে সারা দেশে প্রচার করে দিলো। চট্টগ্রামে সেটা প্রচার হলো। ২৬ মার্চ দুপুর ২টা থেকে প্রথমে আমাদের হান্নান সাহেব একের পর এক জাতির পিতার ওই ঘোষণাপত্র পাঠ করতে থাকেন। জহুর সাহেব বললেন, একজন আর্মির লোক ডেকে নিয়ে আসো। তাহলে যুদ্ধ যুদ্ধ মনে হবে। তখন মেজর রফিক সাহেবের কাছে যাওয়া হলো। উনি অ্যাম্বুসে ছিলেন। সরে গেলে পাকিস্তানি আর্মি ঢুকে পড়বে। এজন্য অন্য কাউকে খুঁজতে বললেন। জিয়াকে কিন্তু তখন পাবলিক অ্যারেস্ট করছে—সোয়াদ জাহাজে যেতে দেবে না। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ওই দিন জিয়াউর রহমান কিন্তু কোনও ঘোষণা দেয়নি। ওই দিন দুপুর ২টা থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন। তাকে (জিয়াকে) যখন নিয়ে আসে, ২৭ তারিখ সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান ওই ঘোষণাটা পাঠ করেন। যখন জিয়াউর রহমানকে ঘোষক ঘোষক বলা হতো—তখন এই সংসদে প্রশ্ন উঠলো ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। তাহলে উনি ২৭ তারিখ ঘোষণা দেয় কী করে? পরে ইতিহাস এমনভাবে বিকৃত করে যে, সেই ২৭ তারিখকে তারা ২৬ তারিখ বানিয়ে ফেললো। অথচ ২৬ মার্চ জিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিল। তাহলে কী করে ঘোষণা দিলো?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার সমস্ত ব্যবস্থা করে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেখানে একজন মেজর একখানা ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে একটা বক্তব্য দিলেন আর দেশ স্বাধীন হলে গেলো? সবাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো? এটা হয়?’

উর্দু খুব পছন্দের ছিল জিয়ার

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন মেজর ছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে দ্রুত প্রমোশন দিয়ে মেজর জেনারেল করলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে জিয়া মেজর জেনালের হতে পারতো? কারণ তার বাবা-মা পাকিস্তানে মাইগ্রেট করে। জিয়াউর রহমান ওখানেই আর্মিতে ঢোকে। তার পোস্টিং হয় আমাদের দেশে। সে ভালো করে বাংলাও বলতে পারতো না। উর্দু খুব পছন্দের ছিল তার।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে যে ক্যান্টনমেন্টে ছিল জিয়াউর রহমান, সেখানে কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। যার কারণে সেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেই গণকবর ভাটিয়ারিতে আছে। সে সঠিক সিদ্ধান্ত দিলে আমাদের সৈনিকরা ব্যবস্থা নিতে পারতো।’

জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যার আসামি করতে চেয়েছিলাম

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়াউর রহমানকে আসামি করতে চেয়েছিলেন ‍উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘সে পঁচাত্তরের হত্যার সঙ্গে জড়িত এতে কোনও সন্দেহ নেই। আমি তাকে আসামি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের তখনকার স্বরাষ্ট্রসচিব রেজাউল হায়াত বলেছিলেন—মৃত মানুষকে তো আসামি করা যায় না। আমার মনে হয় নামটা (আসামি হিসেবে) থাকা উচিত ছিল। কারণ জিয়া যে ষড়যন্ত্রে জড়িত তা ফারুক-রশিদ নিজেরাই বলেছেন। একাধিক বইতে আছে। আর জড়িত না হলে যেসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছিল তাদের ছেড়ে দিলো কেন? জিয়াউর রহমান সেই বিচার বন্ধ করে সবাইকে কারাগার থেকে মুক্তি দিলো। সাত খুনের আসামিকে ছেড়ে দিলো। খুনিদের ডেকে এনে দল করলো। স্বাধীনতা যুদ্ধই যদি করে থাকে তাহলে একাত্তরের অগ্নিসংযোগকারী, খুনি ধর্ষণকারীদের কেন মন্ত্রী উপদেষ্টা বানালো? সংসদে বসালো। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করলো। তার বউ খালেদা জিয়াকে আরও একধাপ ওপরে গিয়ে এমপি বানিয়ে সংসদে বসালো। খুনি, অপরাধী, ধর্ষণকারী, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি-এদের সঙ্গে তাদের বসবাস।’

বিএনপির হারুনুর রশীদের বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদে বলা হয়েছে জিয়াউর রহমান যে সেক্টরে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানে সব থেকে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। তা হলে প্রশ্ন আসে, সে তাহলে যুদ্ধে কী কাজ করেছে। পাকিস্তানিদের পক্ষে? যাতে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুবরণ করে, সেই ব্যবস্থা করেছিল কিনা—সেটাই আমার প্রশ্ন। সেক্টরের অধিনায়ক করে প্রাণহানি বাড়িয়ে দেওয়ার মানে কী? নিজের হাতে নিজেদের লোকদের এগিয়ে দিয়েছে মরতে। মেজর হাফিজের বইতে কী আছে? এখন বই চেঞ্জ করছে।’

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘জিয়ার আমলে প্রত্যেকটি কারাগারে কত মানুষকে ফাঁসি দিয়ে মারা হয়েছে। তার রেকর্ড তো থেকে যায়। সেগুলো একটু খুঁজে বের করে দেখেন।’

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদের থেকে এখন মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। জ্ঞানের কথা শুনতে হয়। আইনের শাসনের কথা শুনতে হয়। আমার বাবা-মার হত্যার বিচার চেয়ে আমি মামলা করতে পারিনি। আমাদের সেই অধিকার ছিল না। হ্যাঁ আমাদের দলের বেইমান তো ছিলই। খন্দকার মোস্তাক-টোস্তাক তো ছিলই। এটা তো অস্বীকার করি না। আমাদের বাড়ির ভাত কার পেটে না গেছে। জিয়াউর রহমান তো খালেদা জিয়াকে নিয়ে মাসে একবার করে আমাদের বাড়ি গিয়ে বসে থাকতো।’

বন্ধুত্বের নিদর্শন ও বাজারজাতকরণে আম পাঠানো হয়েছে

পাকিস্তানে আম পাঠানো নিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ‘কেবল পাকিস্তান নয়, ভারত-পাকিস্তানসহ আশপাশের প্রতিবেশী দেশ এমনকি মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে সব দেশেই আম পাঠিয়েছি। আমাদের আম অত্যন্ত ‍সুস্বাদু। আম পাঠানোর একটা কারণ হচ্ছে বন্ধুত্বের নিদর্শন এবং দ্বিতীয়টি হলো বাজারজাতকরণ। দুই দিক থেকেই দেখতে হবে। সেজন্য সবাইকে আম পাঠিয়েছি। তবে, একাত্তরে পাকিস্তান আমাদের ওপর যে অত্যাচার করেছে সেটা নিশ্চয়ই আমরা ভুলতে পারি না। এটা ভুলে গিয়েছিল বিএনপি।’

২৪ কোটি ডোজ টিকা কিনবো

করোনার টিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সবাই যাতে টিকা পায় আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। ২৪ কোটি ডোজ টিকা আমরা কিনবো। ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। আমাদের দেশে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চুক্তি হয়েছে। সেখানেও ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews