যুক্তরাষ্ট্র সবসময় নানা ইস্যূতে বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখতে চায়। কখনো গণতন্ত্রের কথা বলে, আবার কখনো সুশাসন, সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতির কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র এরকম চাপ সৃষ্টি করে। এটা তাদের এক ধরনের রাজনীতি।শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে এক সময় গণতন্ত্র ছিল না, দেশের মানুষই গণতন্ত্র এনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের নমুনা তো দেখেছি, গণতন্ত্র সম্মেলনে কোন কোন দেশকে দাওয়াত দিয়েছে তাও দেখেছি। তবে কাকে দাওয়াত দিবে সেটা তাদের বিষয়। ’যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়া প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘কে দাওয়াত দিল, না দিল তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের গণতন্ত্র আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে। এটা অন্য কেউ করে দিবে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দাওয়াত না দেয়া নিয়ে এতো চিন্তা কেন। দুনিয়াজুড়ে তো শত শত সম্মেলন হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন অনেক কষ্ট করে এটা আয়োজন করেছেন। তারা নিজেও ঝামেলায় আছে। এরকম একটি পরিপক্ক গণতান্ত্রিক দেশেও ঝামেলা হয়। সেদিক দিয়ে আমরা খুব ভালো আছি। আর গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না। দেশের মানুষই শেখায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে অনেক বছর ধরে স্থীতিশীল গণতন্ত্র আছে। সব দেশেরই ব্যতয় আছে, দুর্বলতা আছে। সব বিষয় সামনে নিয়ে দিনে দিনে যাতে ভালো করতে পারি তা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। অন্যের ফরমায়েশে গণতন্ত্র হয় না। আমারা আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী করবো- কে দাওয়াত দিল, আর না দিল তা নিয়ে দুঃচিন্তা কেন? বরং আমাদের চিন্তা করা উচিত আগামী নির্বাচনে যাতে একটি লোকও মারা না যায়। কোথাও কোনো বিচ্যুতি থাকলে তা সমাধান করার চেষ্টা করবো।’এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মো. হাফিজ আহমদ প্রমুখ।