আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন ছয়টি। জাতির সাথে এর চেয়ে বড় তামাশা আর কিছুই হতে পারে না।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্নে রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম, বেদনাদায়ক হত্যা ১৫ আগস্ট। এ দিনে ভুয়া জন্মদিন পালন করে খালেদা জিয়া জাতির সাথে তামাশা করছেন। আপনারা কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন, কেক কাটার পরিবর্তে দোয়া মাহফিল করেছেন, কিন্তু জন্মদিনও পালন করছেন। তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিনের কর্মসূচি তো রয়েই গেলো!
ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী বেগম জিয়ার জন্ম তারিখ ৯ আগস্ট ১৯৪৫; বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, পাসপোর্ট সনদে ১৯ আগস্ট ১৯৪৫। আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্ম দিন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘ দিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন। অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেয়া তথ্যে জানা গেল খালেদা জিয়ার জন্ম দিন ৮ মে ১৯৪৬।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যার পরও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র থেমে থাকেনি। তারা তিন নভেম্বর জাতিকে নেতৃত্বশূণ্য করতে কারাভ্যন্তরে হত্যা করেছিল জাতীয় চার নেতাকে। এরপর ষড়যন্ত্র পেয়েছে নবরূপ। পরবর্তীকালে প্রকাশ্য দিবালোকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে।
গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সরবরাহ নিয়ে যে সব কথা উঠছে তা বাস্তবে গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন দেশ ও উৎস থেকে টিকা আসছে। আগামী ছয় মাস টিকা আসা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এক দিকে টিকা আসতে থাকবে। অপর দিকে টিকা প্রদান অব্যাহত থাকবে। টিকা নিয়ে কোনো সঙ্কট নেই, আগামীতেও হবে না।