চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ উপলক্ষে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সব খেলোয়াড়কে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা হয়েছে। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই বলয় ভাঙার অনুমতি নেই কোনো খেলোয়াড়ের।
কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ের অংশ না হয়েও মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) হুট করেই বিসিবির একাডেমিতে ব্যক্তিগত অনুশীলনে নেমে পড়েন মাশরাফি বিন মর্তুজা। জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙার কারণে অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছেন এই সাবেক টাইগার অধিনায়ক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে ‘ক্রিকবাজ’ এমনটাই জানিয়েছে।
মাশরাফি হ্যামস্ট্রিং ইনিজুরি কাটিয়ে দীর্ঘ আট মাস পর মিরপুরের একাডেমি মাঠে বল হাতে বোলিংও করেছেন। মিরপুরে এসে আগে হালকা ফিটনেস সেশনে সময় পার করেন মাশরাফি। এরপরই একাডেমি মাঠে বল হাতে নেমে পড়েন তিনি। ফুল রানআপে ধীরে ধীরে ৪ ওভার বোলিং করেন। মাশরাফি অনুশীলনে নামার পাশাপাশি কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন বলে জানা গেছে।
মাশরাফির জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙার ব্যাপারে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আসলে এটা (জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে একাডেমি মাঠে প্রবেশ করা) অনিচ্ছাকৃত ভুল। মাশরাফি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। সে যাতে একই ভুল আর না করতে পারে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখব। তবে এটা বলতেই হবে যে, সে ক্রিকেটারদের খুব কাছে যায়নি এবং ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখেছে। এগুলো বিবেচনায় নিলে, আমি মনে করি সে অন্য কাউকে বিপদের মুখে ফেলেনি। আসলে ওইর এখন ইনডোরে অনুশীলন করার কথা ছিল। কিন্তু কোনো কারণে সে এটা বুঝতে পারেনি। ‘
এদিকে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা মাশরাফির প্রথমদিনের অনুশীলন দেখে বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার বলেন, ‘করোনার পর থেকে সে (মাশরাফি) সে একাই অনুশীলন করছে। এখন সে ওজন কমাতে চায় এবং আমি তাকে সয়াহতা করার চেষ্টা করছি। সে ম্যাচ খেলার মতো ফিট কি না তা বলার মতো সময় এখনও আসেনি। তবে যে যেভাবে অনুশীলন করছে তাতে খুব সময় লাগবে বলেও মনে হয় না। সে চাইলে খেলতে পারবে, কারণ যে যদি মনে করে এই ফিটনেস নিয়ে সে চার ওভার চালিয়ে নিতে পারবে তাহলে খেলতে পারে। ‘
গেল মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পর ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান মাশরাফি। করোনা বিরতির পর ক্রিকেটাররা অনুশীলনে ফিরলেও, মাশরাফি ফেরেননি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভুগেছেন দীর্ঘদিন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অংশগ্রহণের জন্য শুরুর আগে সিটি ক্লাব মাঠে রানিং করতে গিয়ে পুরোনো হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন আবার।
ফিট না থাকার কারণে মাশরাফির নাম প্লেয়ার্স ড্রাফটে রাখা হয়নি। তবে নির্বাচকরা জানিয়েছেন ফিট হলে মাশরাফি যে কোনো দলে সরাসরি খেলতে পারবেন। আর একাধিক দল নিতে চাইলে লটারির মাধ্যমে নিতে হবে। এর আগে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে খেলেননি ৩৭ বছর বয়সী পেসার। এখন ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য যথেষ্ট সময় তার হাতে নেই।