1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসি থেকে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে বিল পাস আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার দুর্গাপূজায় মণ্ডপ আর না বাড়ানোর অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রংপুরে ১২৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হতে পারে তারেক-জোবাইদাকে, আশঙ্কা বিএনপির বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেবো না, তবে জনগণের ক্ষতি করলে রেহাই নয়: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল সংসদে

কিছু মানুষ দেশের উন্নয়ন ও অর্জনকে মেনে নিতে পারছে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১১ জুন, ২০২২
  • ৭০

বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন ও অর্জনকে দেশের কিছু মানুষ কেন মেনে নিতে পারছে না এমন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে কেন একদল মানুষ মনে কষ্ট পায়? কেন তারা কোন অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন বলে মেনে নিতে পারছে না?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটিকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না।’

‘কেন তাদের এই দৈন্যতা?’ কোথায় তাদের সমস্যা? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তির ১৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশে প্রবৃদ্ধি যখন নেতিবাচক তখন আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশ মহামারীর সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে এবং তাঁর সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটও দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সর্বদাই তৎপর রয়েছে।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ একটি আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে, যা প্রতিটি নেতাকর্মীর মনে রাখতে হবে এবং কোনো লোভের জন্য সেজন্য দেশকে কারো হাতে তাঁরা তুলে দিতে পারে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলেই চলতে হয়েছে। জনগণই হলো আমাদের শক্তি। তাই কারও কাছে কোনদিন মাথা নত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু) কাছ থেকে এটা শিখেছি যে, কারও কাছে বা কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।

‘এক/এগারো’র-এর সেনা সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে কারান্তরীণ সময়ের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতবার গ্রেফতার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি, চিঠির মাধ্যেমে নেতাকর্মীদের নিদের্শনা দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে- এটা বাবার সময়ও দেখেছি।

দলের দুঃসময়ে তৃণমূল নেতারা ঠিক থাকে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় আমাকে মুক্তি দিতে। সে সময়ে মাত্র ১৫ দিনে তাঁর মুক্তির জন্য ২৫ লাখ সই সংগ্রহ করা হয়। যাতে সে সময়কার সরকারও অবাক হয়।

তিনি বলেন, এটাই আওয়ামী লীগ, জনগণই এর শক্তি। আর বিএনপির ক্ষেত্রে তাদের জন্মই হল আজন্ম পাপ। জনগণ বিএনপির শক্তি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাবো। যে যাই বলুক, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি।

দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান শেখ হাসিনা। সেনাসমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক সময় কারাগারের অভ্যন্তরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাঁকে মুক্তি দেয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে দিনটি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এর আগে শনিবার (১১ জুন) দুপুর পৌনে ১২টায় কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। প্রথমে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ এবং গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews