আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বৃহস্পতিবারের জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। শহরের প্রধান হাসপাতালের টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্ট থেকে নিহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া হেঠে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এদিনের বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও অন্তত ১২০ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই আফগান নাগরিক। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকও রয়েছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকমের প্রধান জেনারেল কেনেথ ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কাবুল বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে দায়ী করেছেন কেনেথ ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি। তিনি বলেন, মার্কিন বাহিনীর জন্য এটি একটি কঠিন দিন।
এ হামলায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বোমা বিস্ফোরণ ঘটে কাবুল বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে। বাইরে গোলাগুলি হয় বলে জানায় একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, আবে গেটের সামনেই বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কাবুলের একটি হোটেলের কাছে দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস জড়িত থাকার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে দেশটি।
হামলার নিন্দা জানিয়ে আফগান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছে তালেবান। দলের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামিক আমিরাত। এমন এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে যেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল মার্কিন বাহিনী।
তালেবানের আরেক মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের নিরাপত্তার প্রতি গভীর মনোযোগ দিচ্ছে তার দল।