1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ

কনডেম সেলে রাখা হয়েছে প্রদীপ-লিয়াকতকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৮৭

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তাদের জেল কোড অনুযায়ী সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেল সুপার নেছার আলম।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তিনি বলেন, ‘মামলার রায়ের পর সন্ধ্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে পুলিশভ্যান কারাগারে পৌঁছায়। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে অন্য আসামিদের কাছ থেকে আলাদা করা হয়। তাদের কারাগারের একটি কক্ষকে কনডেম সেল ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয়।’

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য আলাদা কোনও কনডেম সেল নেই। এই কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এলে কিছু কক্ষকে কনডেম সেল ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয়। জেল কোড অনুযায়ী তাদের প্রতিদিন খাবার ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।’

নেছার আলম জানান, সিনহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি কয়েদি হিসেবে গণ্য হবে। এ কারণে তাদের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে সেলে রাখা হবে। একইসঙ্গে খালাস পাওয়াদের বিষয়ে আদালতের কাগজপত্র এলে মুক্তি দেওয়া হবে।’

এর আগে, বিকালে এ মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়াও ছয় আসামি সাবেক এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়াও এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আব্দুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস দেন আদালত। সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে আনা হয়।

এর আগে, দুপুর ২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়। এরপর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে বিচারক মামলার রায় পড়া শুরু করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়ার শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া সিনহা ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য সেসময় প্রায় এক মাস কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। ওই কাজে তার সঙ্গে ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে র‌্যাব ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। সেই মামলায় আজ রায় দেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews