বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাধানম গ্যাব্রিয়েসুসস বৃহস্পতিবার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মধ্যেই করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তর নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক স্তরে আছি। বর্ধিত সামাজিক গতিশীলতা এবং প্রমাণিত স্বাস্থ্যবিধিগুলোর অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারের সাথে ভারতীয় করোনার ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর হার বাড়ার সম্পর্ক রয়েছে।
ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে ভ্যাকসিন দেওয়ার হার বাড়িয়ে সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যার যে ধারাবাহিক হ্রাস ঘটেছিল তা প্রত্যাহার করে তিনি নতুন করে বিপদাশঙ্কা প্রকাশ করেন।
টেড্রস বলেন, ভাইরাসটির এখন বিবর্তন চলছে। ফলে আরও বেশি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে ১১১টিরও বেশি দেশে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে এবং যদি এই ভ্যারিয়েন্ট কোনো দেশে নাও থেকে থাকে তাহলে এটাই হবে সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট।
গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো ক্রমবর্ধমান দেখা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি অঞ্চলের একটি ছাড়া সব ক্ষেত্রেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবিচ্ছিন্নভাবে ১০ সপ্তাহের পরে মৃত্যুর ঘটনাও আবার বাড়ছে।
সংস্থাটির মতে, বিশ্বে দুই রকমভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ দেখা দিচ্ছে। একদল ভ্যাকসিন প্রদান করছে এবং অন্যদল ভাইরাসের দয়ার উপর নির্ভর করে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি বেশি ভ্যাকসিন বিতরণ করতে হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি দেশের অন্তত ১০ শতাংশকে ভ্যাকসিন দিতে হবে, ২০২১ সালের শেষের মধ্যে ৪০ শতাংশকে এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে ৭০ শতাংশকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
তবে ভ্যাকসিন একা এই মহামারী রোধ করতে পারবে না বলেও মন্তব্য তাদের। সেজন্য জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক ব্যবস্থাগুলির ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে।