1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

এখনো সময় আছে, নিশিরাতের ভোট বাদ দিন: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৪৮

সরকার অবৈধ শাসন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে নগ্নভাবে দলীয়করণ করে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ভিন্নমত দমন করার কাজে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। গুম, খুন, ক্রসফায়ারের নামে হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে।

ফলশ্রুতিতে লজ্জাজনকভাবে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এবং তার কর্মকর্তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে, যা জাতির জন্য কলঙ্কজনক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিশনার চৌধুরী আলমসহ প্রায় ৬০০ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ২৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

ফখরুল বলেন, দেশ আজ এক ভয়ানক অবস্থার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। জনগণের ভোটবিহীন এই সরকার জনগণ ও তার প্রতিনিধিত্বকারী বিরোধী রাজনৈতিক দলের অধিকার এবং মতামতকে প্রথম থেকেই নাকচ করতে চেয়েছে। সে কারণেই তারা জনআস্থা অর্জনকারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বাতিল করেছে এবং বিচার বিভাগের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এভাবেই তারা পদ্ধতিগতভাবে বাংলাদেশের আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগকে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট জারি করে।

তিনি আরো বলেন, এক যুগ ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ফ্যাসিস্ট ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশের সব সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেভাবে ধ্বংস করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে প্রায় একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের পর্যায়ে এনে দাঁড় করিয়েছে, তা জনগণ বরদাস্ত করবে না।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত র‍্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী বন্ধুরাষ্ট্রের বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে শুধু সচেতন মানুষদের সঙ্গেই প্রতারণা করেনি, ওয়াশিংটন দূতাবাস বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চরমভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। কারণ, কংগ্রেসম্যান মিকস নিজেই গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে নাকচ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ওয়েবসাইটে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

মার্কিন হাউস অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞায় দৃঢ় সমর্থন দিয়ে তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে আমি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দৃঢ় করার বিষয়টিকে আমি সব সময় সমর্থন করব। আগামী নির্বাচন অবাধ ও তার সুষ্ঠুতা নিশ্চিতকরণসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহায্য করার জন্য কাজ করব।

তিনি বলেন, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচারপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রমাণ। আমরা লক্ষ্য করেছি, বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি একাডেমিশিয়ান, সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীরা যখন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের অনিয়ম, জনগণের ভোটাধিকার ইত্যাদি সামগ্রিক এই হতাশাজনক পরিস্থিতি জনগণের সামনে তুলে ধরে তখনই সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনির শক্তিকে ব্যবহার করে।

তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, ব্রাসেলসসহ দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ডে আবারও তা প্রমাণিত হলো। দেশের বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার লাশকেও তারা চরমভাবে অপমান করেছিল। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন শহরের কর্মকর্তারা সরকারি দলের অনুষ্ঠানগুলোতে  নিয়মিত উপস্থিত থেকে দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করেন। যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাকেই ধূলিসাৎ করেছে। এতে পেশাদার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হলেও মৌন থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি এ সময় বলেন, বিএনপি সুস্পষ্টভাবে বলতে চায় এখনো সময় আছে। এই অপতৎপরতা বন্ধ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করার ব্যবস্থা নিন। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নিশিরাতের ভোট নয়, জনগণের নির্বিঘ্ন ভোট প্রদানের জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে জনগণের সরকার গঠন করার মৌলিক শর্ত পূরণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews