1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের মধ্যে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন, দফতর পেলেন নতুন দুই জন শপথ নিলেন তিন উপদেষ্টা পাসপোর্টের তিন পরিচালক এখন ‘টাকার কুমির’ ৪০০ কোটি টাকার মালিক যে পিয়ন  গুজব প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছে সরকার বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে: কাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন সৌদি যুবরাজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করবে সরকার: আসিফ নজরুল মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আকরামুল হক

উড়োজাহাজের নিলাম ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ইউনাইটেড এয়ার কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১
  • ২২২

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ সরাতে দীর্ঘদিন ধরে বারাবর চিঠি দিয়েও সাড়া পায়নি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। একদিকে বকেয়া পাওনা, অন্যদিকে পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো জায়গা দখল করে বিমানবন্দরকে ডাম্পিং স্টেশনে পরিণত করেছে। কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে উড়োজাহাজগুলো সরাতে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক।

বেবিচকের নিলামের তৎপরতা শুরু হওয়ার পর তা ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ইউনাইটেড এয়ার। এ বিষয়ে সমঝোতার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছে এয়ারলাইনসটির নতুন পরিচালনা পর্ষদ।

ফ্লাইট পরিচালনায় না থাকা তিন এয়ারলাইনসের কাছে বিভিন্ন ফি বাবদ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পাবে ৭৭৪ কোটি ৭৪ লাখ ৩ হাজার ৭১৪ টাকা টাকা।

দীর্ঘ সময়েও এ টাকা আদায় না হওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আকাশ পথের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। একইসঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইনসগুলোর পরিত্যাক্ত কয়েকটি উড়োজাহাজ নিলামে তোলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে কী প্রক্রিয়ায় নিলাম অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও চূড়ান্ত করেনি বেবিচক।

বেবিচকের হিসাবে, গত মার্চ পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারের কাছে তাদের মোট পাওনা ২৮৩ কোটি ৩৮ লাখ ২৮ হাজার ১৭৩ টাকা, ইউনাইটেড এয়ারের কাছে ২০৩ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩ টাকা এবং জিএমজি এয়ারের কাছে পাওনা হয়েছে ৩৬৮ কোটি ২৯ লাখ ৬ হাজার ৪৮ টাকা।

তবে এই নিলাম ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ইউনাইটেড এয়ার। কয়েক মাস ধরে যোগাযোগের পাশাপাশি বেবিচককে চিঠি দিয়েছে তারা। এতে উড়োজাহাজগুলো পরিদর্শনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অডিটের পর উড়োজাহাজগুলোর বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছে বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইনসটি।

চিঠিতে বলা হয়, ‘উড়োজাহাজগুলোর ৫০ ভাগ উড্ডয়ন ক্ষমতা রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। প্রয়োজনীয় রক্ষাণাবেক্ষণের মাধ্যমে এগুলোকে উড্ডয়নযোগ্য করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’

অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি বেবিচক কর্তৃপক্ষ।

দেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে প্রথম পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। ২০০৭ সালে ব্যবসা শুরু করা এয়ারলাইনসটি হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ২০১৬ সালে। সে সময় তাদের বহরে ১০টি উড়োজাহাজ ছিলো। এগুলোর মধ্যে নয়টি বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। আর একটি রয়েছে ভারতে।

সম্প্রতি এয়ারলাইনসটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিসিইসি)। এতে আগের পরিচালনা পর্ষদের সবাইকে বাদ দিয়ে নতুন কয়েকজনের হাতে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তৃত্ব হারিয়েছেন ইউনাইটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাসবিরুল আলম চৌধুরী।

পর্ষদ পুনর্গঠন হওয়া ইউনাইটেড এখন বলছে, তারা ফ্লাইটে ফিরে আসতে চায়। দেনা শোধেও আপত্তি নেই।

এয়ারলাইনসটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত চার মাসে বেবিচকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। আমরা বলেছি, তাদের সঙ্গে বসতে চাই। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই যে এক লাখ ৬০ হাজার শেয়ার হোল্ডার তাদের স্বার্থ কীভাবে রক্ষা করা যায় এবং এয়ারলাইনসটাকে আবার কীভাবে আনা যায়। এয়ারলাইনস ফেরত এলে তাদের দেনা পাওনাগুলোও আমরা দিয়ে দিতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে উড়োজাহাজগুলো রয়েছে সেগুলো ইন্সপেকশনের জন্য আমাদের যেতে দিতে হবে। আমাদের অফিসগুলোও তাদের (বেবিচক) নিয়ন্ত্রণে, আমাদের যেতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা পাসের জন্য আবেদন করেছি। এয়ারক্রাফটগুলো যে ডিরেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা উইথড্র করা হোক। আমাদের এওসি যেন পেতে পারি সে জন্য তারা একটি গাইডলাইন দিক। আমরা ফিরে আসতে চাই এবং তাদের দেনা পাওনাও শোধ করতে চাই।’

নজরুল ইসলাম দাবি করেন, বেবিচক যে টাকা পাবে সেটি খুব বড় অংকের নয়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এওসি কিন্তু বাতিল হয়নি, এক্সপায়ার হয়েছে। এটাকে আবার কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, আমরা সেটা তাদের বিবেচনা করতে বলেছি। এই গাইডলাইন তারাই আমাদের দেবে এবং এটা আমাদের মানতে হবে।’

নিলাম হলে ভ্যালু অ্যাডজাস্টমেন্ট চায় রিজেন্ট

যে কয়টি পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ নিলামে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এক বছর আগে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া রিজেন্ট এয়ারের দুটি ড্যাশ এইট মডেলের উড়োজাহাজ।

গত বছর মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সব ধরনের ফ্লাইট স্থগিত রেখেছে রিজেন্ট এয়ার। এর মধ্যে কয়েক দফা কার্যক্রমে ফেরার ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি এয়ারলাইনসটি।

রিজেন্ট এয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর। এক দশক যেতে না যেতেই জোর ধাক্কা খায় এয়ারলাইনসটি। বন্ধ হওয়ার আগে দেশের ভেতরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং আন্তর্জাতিক গন্তব্য কলকাতা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মাসকট ও দোহায় ফ্লাইট চালাচ্ছিল তারা।

এয়ারলাইনসটির কর্তৃপক্ষ বলছে, বেবিচক উড়োজাহাজ নিলামে তুললে তাতে আপত্তি নেই। তবে উড়োজাহাজের ভ্যালুয়েশন (দাম নির্ণয়) ঠিক মতো না করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

রিজেন্ট এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের তারা (বেবিচক) চিঠি দিয়েছে। তারা বলছে, আমাদের দুটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ নিলামে তুলবে। আমরা তাদের উড়োজাহাজের দাম জানিয়েছি। আমাদের একজন ক্রেতাও প্রস্তুত আছেন। ওই ক্রেতা আমাদের একটি উড়োজাহাজের জন্য এক মিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছে। আমরা এটা তাদের (বেবিচক) জানিয়েছি।

‘আমার উড়োজাহাজের যে দাম তাতে আপনি যদি বিক্রি করেন তাহলে পাওনার সঙ্গে কীভাবে অ্যাডজাস্ট করবেন? আমরা যদি ভ্যালুয়েশন অনুযায়ী দাম না পাই তাহলে আমরা উল্টো তাদের (বেবিচক) বিরুদ্ধে মামলা করে দেব।’

নিলামে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএমজি এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজও। ১৯৯৭ সালে কোম্পানি খুলে পরের বছরের এপ্রিলে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে দেশে কার্যক্রম শুরু করে বেসরকারি জিএমজি এয়ারলাইনস। ২০০৪ সালে প্রথম বেসরকারি এয়ারলাইনস হিসেবে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইটে আসে তারা।

২০০৯ সালে এয়ারলাইনসটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনে নেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। তবে তারা ব্যবসায় সফল হতে পারেনি। ২০১২ সালেই বন্ধ হয়ে যায় জিএমজির ফ্লাইট। এর আগেই অবশ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা বলে ৩০০ কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির তথ্য আসে গণমাধ্যমে। পরে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হয়নি।

২০১২ সালের ৩০ মার্চ বন্ধ করে দেয়ার সময় জিএমজি বলেছিল, আবার চালু হবে কোম্পানি। তবে তা আর হয়নি।

এই তিনটি এয়ারলাইনসের কাছে পাওনার বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান জানান, ‘যে এয়ারলাইনসগুলো এরই মধ্যে বসে গেছে যেমন রিজেন্ট, ইউনাইটেড ও জিএমজি, তাদের কাছে আমাদের অনেক পাওনা হয়ে গেছে। এর জন্য আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

‘এদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা আছে, আবার কারও বিরুদ্ধে সামনে মামলা করবো।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews