1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসি থেকে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে বিল পাস আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার দুর্গাপূজায় মণ্ডপ আর না বাড়ানোর অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রংপুরে ১২৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হতে পারে তারেক-জোবাইদাকে, আশঙ্কা বিএনপির বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেবো না, তবে জনগণের ক্ষতি করলে রেহাই নয়: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল সংসদে

‘আমৃত্যু’ উল্লেখ না থাকলে যাবজ্জীবন মানেই ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড: পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১
  • ১৭৫

আদালতের কোন রায়ে ‘আমৃত্যু’ উল্লেখ না থাকলে যাবজ্জীবন সাজা মানেই ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ হবে উল্লেখ করা পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির সইয়ের পর ১২০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউয়ের শুনানি শেষে রায়টি ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। 

আদালত তার রায়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বলতে বুঝায়, দণ্ডিত ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পুরো সময় কারাবাস।  দণ্ডবিধির ৪৫ ও ৫৩ ধারার সঙ্গে ৫৫ ও ৫৭ ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ একসঙ্গে পড়া হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বলতে ৩০ বছর কারাদণ্ড বুঝায়। তবে যদি কোনও আদালত, ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ‘আমৃত্যু’ কারাদণ্ড দেন তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ এর বিধানটি (৩০ বছরের কারাদণ্ড) এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মুহাম্মদ মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন- যাবজ্জীবন বলতে একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যতদিন, ততদিন কারাদণ্ড হবে। কিন্তু আইনের বিধান অনুযায়ী, একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে কমপক্ষে ৩০ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।  সেক্ষেত্রে আসামি আইনের অন্যান্য রেয়াদ পাবে, যদি না আদালত বিশেষভাবে আদেশ দেন যে, তাকে আমৃত্যু জেলে থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জামান ইয়াসিনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যার ঘটনায় জামানের পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম সাভার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  মামলার এজাহারে বলা হয়, চারবাগ মাদ্রাসার সামনে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। তার লাশ ওই মাদ্রাসার তিন রাস্তার মোড়ে অলিউল্লাহর দোকানের পূর্বপাশের পাকা রাস্তার ওপর পড়েছিল।

আসামি আনোয়ার, আতাউর মৃধা ও কামরুল তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, জামানকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার তদন্ত করে ২০০২ সালের ২৭ জুলাই আদালতে ওই তিন আসামির নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামি আতাউর ও আনোয়ার। পলাতক থাকায় আপিল করার সুযোগ পাননি কামরুল। একই সঙ্গে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আপিল খারিজ করে দিয়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আতাউর ও আনোয়ার।  আপিলে ফাঁসির দণ্ড মওকুফ চাওয়া হয়। সোমবার  (১২ জুলাই) ওই আপিলের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মনসুরুল হক চৌধুরী এবং  রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ শুনানি করেন।

শুনানি শেষে আসামিদের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।  একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা দেন। আদালত বলেন, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড।

পরে এ হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের  ৯২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ বলে মন্তব্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এরপর ২০১৭  সালের ৫ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews