1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসি থেকে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে বিল পাস আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার দুর্গাপূজায় মণ্ডপ আর না বাড়ানোর অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রংপুরে ১২৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হতে পারে তারেক-জোবাইদাকে, আশঙ্কা বিএনপির বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেবো না, তবে জনগণের ক্ষতি করলে রেহাই নয়: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল সংসদে

আমাদের রাজনীতি যারা করে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হয়: শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ৫৯

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি যারা করে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হয়। এই এলাকাতেও ষড়যন্ত্র হয়। এই বিপ্লবের (যুবলীগ নেতা) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়। এতদিন চুপ ছিলাম, ধৈর্যের একটা লিমিট আছে। আমার এলাকায় বিপ্লব রাজনীতি করে, আর চেষ্টা করবেন বিপ্লবকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি শামীম ওসমান জীবিত থাকতে এটা পারবেন না, সামাল দিয়ে চলেন। কারা পেছন থেকে খেলাচ্ছেন, অর্থ দিচ্ছেন আমার কাছে সব খবর  আছে। কয়েকদিন পর পর বলেন রাজপথ দখল করবে, করেন না দখল। আমরা তো বসেই আছি খেলার জন্য। রাজাকারের সন্তানদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের খেলা হবে, ওই খেলায় মুক্তিযোদ্ধোর সন্তানরা জিতবে। আজকে যারা দেশকে ভালোবাসে তাদের সবার একমত হওয়া দরকার। আমি এক হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’ 

রবিবার (২১ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে ওরা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দেশীয়ভাবে-আন্তর্জাতিকভাবে টাকা ঢুকছে। বিএনপি নেতা ফখরুল সাহেব হাসতে হাসতে বললেন, কয়েকদিন পরে সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। কেন সর্ষে ফুল দেখবে? কারণ দেশ নাকি শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হয়ে যাবে। দেশ যদি দেউলিয়া হয়ে যায় আপনি রাজনীতি করে খুশি হন কেন?’ 

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কেন আপনি ওদের চায়ের দাওয়াত দেন। যাদের হাতে রক্ত তাদেরকে আপনি চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন না। যারা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে ইন্ডেমনিটি অ্যাক্ট করেছিল তাদেরকে আপনি চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন না। যারা আপনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, তাদের চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন না। যারা একুশে আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল, তাদের আপনি চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন না।’

স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে সংসদ সদস্য বলেন, ‘প্রথমে আসলো রোহিঙ্গা, তারপর করোনা মহামারি ও বন্যা সমস্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধে সারা পৃথিবী টালমাটাল হয়ে গেছে। অর্থনীতি বেকায়দায় পড়েছে। এই যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদী হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী বার বার বলছেন, যার যেখানে জমি আছে সেখানে চাষাবাদ করেন। যাতে করে অন্ততপক্ষে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি। এ সময় তো আমাদের হাতে হাত ধরে থাকার কথা। কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কে জাতীয় পার্টি, কে নির্দলীয় তা দেখার কথা না। দেশটাকে আগে বাঁচাই, তারপরে রাজনীতি করি। কিন্তু না, ওরা এই সুযোগটা নিতে চায়। ওরা দেশটাকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কারণ ওরা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি।’ 

বোমা হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আজ একুশে আগস্ট। একুশ বছর আগে নারায়ণগঞ্জে একটা ঘটনা ঘটেছিল।  ২০০১ সালের ১৬ জুন বোমা মারা হয়েছিল। নিজের কাছে অপরাধবোধ হয়, মাফ করতে পারি না। অপরাধ করেছিলাম স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে, মুক্তিযোদ্ধার ঘরে জন্ম নিয়ে। অপরাধ করেছিলাম কারণ সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে শিখেছিলাম। বেশি কিছু করিনি, শুধু বলেছিলাম এ নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটি যেখানে আওয়ামী লীগের জন্ম, যেখানে ভাষা আন্দোলন শুরু সেখানে বলেছিলাম নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রবেশ নিষেধ। এ অপরাধে আওয়ামী লীগ অফিসে আরডিএক্স দিয়ে হামলা করা হলো। আমাদের হাত-পা বিকল হয়ে গেলো। আমাদের ২০ জন মানুষ যে মরলো তারা কী মানুষ না। তখন আমার জ্ঞান ছিল না। হাসপাতালে নেওয়ার পর আমি জানতাম না কয়জন মারা গেছেন। জ্ঞান ফেরার পর শুধু একটা কথাই বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান। অথচ এই বোমা হামলার দায়ও আমাদের দেওয়া হয়।’ 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব প্রমুখ। 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews