মুদ্রা পাচার মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে তাকে নেওয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন্স অ্যানেক্স ভবনে।
সেখান থেকে সন্ধ্যায় তাকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে জি কে শামীমকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুভাষ জানান, গত ৫ এপ্রিল ডান হাতের চিকিৎসার জন্য তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই ছিলেন জি কে শামীম, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। কারাগারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রায় প্রতি মাসেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কারাগারে পাঠানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হয়ত জিকে শামীমকে কারাগারে পাঠানোর উপযুক্ত মনে করেনি।”
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব।
ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়।
শামীমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ পাচার ও অস্ত্র মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।