নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেছেন, ‘পরপর দুইবার সোনারগাঁওয়ে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায়, মানে জাতীয় পার্টির এমপি। আমিই কাঁচপুরের এক সভায় বলেছিলাম নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসন আমরা নৌকা চাই। সবাই করতালি দিয়ে এই বক্তব্য সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু যেই কারণেই হোক নেত্রী নমিনেশন দিয়েছিলেন, আমাদের কিছু করার ছিল না। যদি ভোট হতো ৮০ শতাংশ ভোট কায়সারের পাওয়ার কথা ছিল। জাতীয় পার্টির আবার ভোট কোথায়? আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিলীন হয়ে যাবে। বিএনপির চেয়ে বেশি বিলীন হয়ে যাবে।’
শনিবার (২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন৷
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে আমরা নেত্রীর কাছে দাবি করবো সোনারগাঁয়ে যেন নৌকার প্রার্থী দেয়। যাকেই দেন আপনি নৌকার প্রার্থী দিবেন। নৌকা দিতে হবে কারণ আমাদের নেতা কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছে। ২০০ লোক নিয়ে মিলাদ দিবেন। কত বড় নেতা লিয়াকত হোসেন খোকা। যাই হোক আমি নেত্রীর কাছে আবেদন করবো সামনে আওয়ামী লীগকে দিবেন নৌকা মার্কা দিবেন।’
আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নেত্রীসহ ২৫০ মানুষ আহত হয়েছিলেন। এখনও অনেকেই স্প্লিনটার নিয়ে জীবন যাপন করছেন। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেত্রীর করতে হয়েছে।’
আব্দুল হাই আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে নেত্রী যখন ক্ষমতা নেন। তখন দেশে মাথা পিছু আয় ছিল ৬শ’ ডলার আর এখন ২৩শ’ ডলার। আজ আমাদের দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে টানেল হচ্ছে, স্যাটেলাইট আকাশে উড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘কাউয়া হাইব্রিডদের কারণে আমাদের চলা ফেরা করতে অসুবিধা হচ্ছে। জাতীয় পত্রিকায় খবর আসছে ৬০ হাজার অনুপ্রবেশকারী আছে। যা আওয়ামী লীগের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গলার কাটা আমাদের সরাতে হবে। এটা আমাদের আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। কাউয়া হাইব্রিড থেকে আপনারা একটু সজাগ থাকবেন। তারা আমাদের চেয়েও বেশি জয় বাংলা স্লোগান দেন, শেখ হাসিনার কর্মী সাজে।’
সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মুজিবুর রহমান, নাসরিন সুলতানান ঝরা, যুবলীগ নেতা মাছুম চৌধুরী, কামাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমেদ রবীন প্রমুখ।