1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
মিয়ানমারে ভূমিকম্পঃ নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়ালো  ৪ এপ্রিল হবে নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের রজতজয়ন্তী আবারও ধর্মঘটের ডাক  দিলেন চিকিৎসকরা জনগণের সমস্যা সমাধানের চিন্তা করার আহ্বান তারেক রহমানের  আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন একইসঙ্গে চায় এনসিপি  অর্থনীতির অবস্থা খুবই ভঙ্গুর: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান   পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের মধ্যে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন, দফতর পেলেন নতুন দুই জন শপথ নিলেন তিন উপদেষ্টা পাসপোর্টের তিন পরিচালক এখন ‘টাকার কুমির’ ৪০০ কোটি টাকার মালিক যে পিয়ন  গুজব প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছে সরকার বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে: কাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন সৌদি যুবরাজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে ঈদ হবে রবিবার  শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করবে সরকার: আসিফ নজরুল

আগামী নির্বাচনেও জোট থাকছে, ১৪ দলকে প্রধানমন্ত্রীর নিশ্চয়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২
  • ১৪১

গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটগতভাবে অংশ নেবে। ১৪ দলীয় জোটের নেতারা মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) প্রসঙ্গটি জোটনেত্রী, দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুললে তিনি জোটগতভাবে ভোট করার নিশ্চয়তা দেন। বৈঠক শেষে ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করেন।

মঙ্গলবার ১৪ দলীয় জোটের নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। দীর্ঘ তিন বছর পর ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য, জোটের ভবিষ্যৎ ও আগামী সংসদ নির্বাচনসহ নানা বিষয় উঠে আসে।

বৈঠক শেষে ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আগামী নির্বাচন ১৪ দলীয় জোটবদ্ধভাবে করা হবে। ১৪ দলের সঙ্গে ঐক্য বজায় থাকবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানে ১৪ দলের যে ভূমিকা, সেটিও অব্যাহত থাকবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, ‘এখনই আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে না। এ জন্য আরও আলোচনা প্রয়োজন, বিষয়টি অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। নির্বাচন একসঙ্গে হবে। এ আলোচনা নির্বাচন ঘোষণার পরে হবে।’

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ কয়েকজন নেতা ১৪ দলীয় জোটের আগামী সংসদ নির্বাচন ও জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন। তারা আগেভাগেই বিষয়টি স্পষ্ট করার প্রস্তাব করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ভোটও জোটগতভাবে আমরা করবো।’ ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলেও তিনি এ সময় জানান।

এ বিষয়ে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা জোট ও ভোটের প্রসঙ্গ জানতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাদের বলেছেন— জোট থাকবে এবং সংসদ নির্বাচনও জোটে হবে। জোট সম্প্রসারণ বা সংকোচন হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী তাদের জানিয়েছেন।’

জানা গেছে, বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের কয়েকজন নেতার সরকারের সমালোচনা করে দেওয়া বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি দলের জোটে থেকে সরকারের সমালোচনা করা সমীচীন নয়। আপনারা দল টেকানোর জন্য যদি এভাবে সমালোচনা করেন, তাহলে বিরোধী পক্ষ তো এটাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে। জোটের কয়েকজন নেতাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, জোটে থাকার কারণে গত ১৩ বছরে তাদের অনেকে এমপি-মন্ত্রীসহ সরকারের নানা সুবিধা পেয়েছেন। জোটে না থাকলে তাদের অনেকে এই সুবিধা পেতেন কিনা প্রশ্ন রয়েছে। ফলে সরকারের সঙ্গে থেকে এভাবে সমালোচনা তো দ্বিচারিতার মধ্যে পড়ে যায়।

জানা গেছে, বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জোটভুক্ত দলগুলোকে আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন। এজন্য দরকার হলে তিনি তাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সংগঠন শক্তিশালী হলে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার পাশাপাশি নির্বাচনে জয়লাভ সহজ হবে তিনি মন্তব্য করেন।

বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী গোষ্ঠী বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ১৪ দলকেও মাঠের কর্মসূচি দিয়ে বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন হেফাজত প্রশ্নে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে তো সবাইকে নিয়ে চলতে হয়। এদের যেন অন্য কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সেই বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে।’

বৈঠকে বছরে অন্তত দুই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোট নেতাদের মতবিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা হয়।

যা বললেন ১৪ দলের নেতারা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ১৪ দলীয় জোটের নেতারা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ তথ্য জানান আমু। তিন বছর পর এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির দেশব্যাপী আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪ দল মাঠে নামবে জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪ দল মাঠে নামবে। সারা দেশে ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজ শুরু করা হবে।’

১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম ও ভূমিকার প্রশংসা করেছে ১৪ দল। বিশ্বব্যাপী করোনার এই সময়ে সারা দেশের মানুষকে টিকা দেওয়া ও করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। শ্রমিকসহ সব শ্রেণির মানুষকে যেভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, এ জন্য তার প্রশংসা করা হয়েছে।’

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য, বর্তমান পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য সবই আলোচনা হয়েছে। খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। বহুদিন পরে একটা ভালো আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি,  সরকারের সঙ্গে ১৪ দলের সম্পর্কে যে প্রশ্নটা আছে, সেটাও আপনার নির্মূল করতে হবে। কারণ, সব ব্যাপারে আমরা একমত নই। সব ব্যাপার আমরা মেনে নেইনি, ব্যাপারটা এরকম না। সুতরাং, যেখানে যেটা আছে, সেখানে কোনও ব্যত্যয় থাকলে, বিষয়টি আলোচনায় আসে।’

তিনি জানান, নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।

বিএনপি নির্বাচনে না এলে কি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘ওই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, সেটা আমরা জানি।’

আপনি বিভিন্ন সময় জনগণের ভোটের নিশ্চয়তা দাবি করেছেন, সেই বিষয়ে কি আজকে আলোচনা করেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘একেবারে স্পষ্টতভাবে বলেছি, গত ইউপি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো এসেছে, জনগণের ভোটদানের অধিকারের যে প্রশ্নটি এসেছে—এই ব্যাপারটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

জোটনেত্রী কী বলেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নেত্রী কি সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন?’

ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে বাংলাদেশের ভারসাম্যমূলক নীতি অবলম্বনকে সমর্থন করেছেন বলে জানিয়েছেন রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। শুধু রাশিয়া-ইউক্রেন না, সামগ্রিক।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সরকারি দলের কাছে চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি। আলোচনাটা হয়েছে ১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে। আমরা মূলত কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটি ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশে এখনও রাষ্ট্রের চিরশত্রু, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী এবং সন্ত্রাসী শক্তি— রাষ্ট্রের মূলভিত্তিতে হামলা ও আঘাত করছে। আমরা তা-ই মনে করি, এখনও ১৪ দল রাখার প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে জোটকে মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিকভাবে যেন কার্যকর করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তেল, গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম যেন বৃদ্ধি না করা হয়, সেই বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করা হয়েছে। দুর্গাপূজা ও সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতরা যেন কোনও অবস্থায় আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে ছাড় না পায় এবং দ্রুত বিচারের সম্মুখীন হয়— এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’

আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান ইনু। তিনি বলেন, ‘তবে ১৪ দলকে কার্যকর করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।  নির্বাচন এখনও অনেক দূরে আছে। পরবর্তী সময়ে এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’

জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হবে। দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে বলেছেন, নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

বিএনপি নির্বাচনে না এলে কি জোট থাকবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জোট থাকবে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হবে। এটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিএনপি সম্পর্কে বলেছেন, তারা একটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত এবং স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ। তাই তিনি চান আওয়ামী লীগের বিকল্প একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হোক। সেটি ১৪ দলভুক্ত। আমাদের রাজনৈতিক মূল ভিত্তি হচ্ছে— অসাম্প্রদায়িক এবং স্বাধীনতার পক্ষের চেতনা। সুতরাং, সেই শক্তি থেকে আরেকটি বিকল্প শক্তির উত্থান হোক, সেটাই উনার প্রত্যাশা। সেইভাবে তিনি ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোকে যার যার দলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন—১৪ দলগতভাবে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে ঐক্যজোটের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews