বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাকে আইনি কাঠামোয় ‘ফিট’ হতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ বুধবার ঢাকায় নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন ইঙ্গিত করেন।
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “আপনি দাঁড়াবেন বা যিনি দাঁড়াবেন আমরা আইনানুগভাবে দেখব। আমাদের তো কিছু আইনি কাঠামো আছে, ম্যাট্রিক্স (ছাঁচ) আছে, যে আপনি দাঁড়াতে চাইলে আপনাকে সেই ম্যাট্রিক্সের মধ্যে ‘ফিটিং’ করতে হবে।
ওই দিক থেকে অবস্থানটা কী হবে, আমরা এখনো জানি না। এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্যই করতে চাই না। ”
তিনি যদি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, তখন কী হবে―এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করলে তখন সেটা দেখা যাবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তো তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন; কিন্তু বাতিল হয়েছিল, বিষয়টি সাংবাদিকরা তুলে ধরলে সিইসি বলেন, ‘আমরা তো বলেছি যে আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখব। যদি আদৌ প্রয়োজন পড়ে আমরা আইনানুগভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। ’
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং অফিসাররা তার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন। পরে রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সেটিও খারিজ করে দেয় তৎকালীন কে এম নূরুল হুদা কমিশন। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনিয়ম দেখেনি ইসি।