1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসি থেকে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে বিল পাস আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার দুর্গাপূজায় মণ্ডপ আর না বাড়ানোর অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রংপুরে ১২৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হতে পারে তারেক-জোবাইদাকে, আশঙ্কা বিএনপির বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেবো না, তবে জনগণের ক্ষতি করলে রেহাই নয়: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল সংসদে

অতীতের বীরত্বগাঁথা স্মরণ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১
  • ৯৯

রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে অতীতের বীরত্বগাঁথা স্মরণ করতে হয়, বীরদের সম্মান জানাতে হয় বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্লভ চিত্রের প্রদর্শনী ‘বাঙালির বীরত্বের চিত্রগাঁথা’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ধারণ করা চিত্র নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আলোকচিত্র খুব বেশি নেই এবং যদি সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে সেগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। এগুলোকে সন্নিবেশিত করে একটি অ্যালবাম বের করে সংরক্ষণের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বাঙালির ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে ড. হাছান বলেন, পাঁচ হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। এর আগে বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে হয়নি। ১৭৮৬ সালে ফকির মজনু শাহ বিদ্রোহ করে, ১৮৩১ সালে তিতুমীর বাঁশের কেল্লা তৈরি করে, ১৯৩০ সালে সূর্যসেন চট্টগ্রাম কারাগার লুণ্ঠন করে, ১৯৪৪ সালে নেতাজী সুভাষ বসু ‘তোমরা রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেবো’ বলে স্বাধীনতার স্বপ্ন এঁকেছিলেন, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এমনভাবে উদ্দীপ্ত করেছিলেন যে, দেশের তরে নিজ প্রাণ সঁপে দিয়ে বাঙালিরা যুদ্ধে গিয়েছিল। হাজার নয়, লাখে লাখে মানুষ যুদ্ধে গিয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, শৈশবে আমি মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকা দেখেছি। দেখেছি আমার বসতবাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। আমার গাঁয়ে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আমার কচি রক্তে আগুন ধরেছে, আমারও মনে হয়েছে আমি মুক্তিযুদ্ধে চলে যাই। কিন্তু বয়স আমার প্রতিবন্ধক ছিল। আমি মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারিনি। কিন্তু আমাদের পূর্বসূরি মুক্তিযোদ্ধারা, সাধারণ জনগণ এবং আমাদের সশস্ত্রবাহিনী নিজের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধ করেছে।

আমাদের এই বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার লক্ষ্যে রচিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের অভ্যুদয়ের পরপরই অনুধাবন করেছিলেন যে পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে বাঙালিদের মুক্তি নিহিত নয়। সেকারণে ১৯৪৮ সালে ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের প্রথম স্বাধীনতা দিবসের আগে ১২ আগস্ট তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন, ১৪ আগস্ট আনন্দ উল্লাসের দিন নয়, বরং উৎপীড়নের নিগড় থেকে মুক্তির শপথ পাওয়ার দিন। কারণ যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাঙালির সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে, বাঙালির ভাষা কেড়ে নিতে চায়, সেই রাষ্ট্র বাঙালির জন্য নয়। এটি তৎকালীন ইত্তেহাদ পত্রিকাসহ অনেক পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিলো।তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আমরা গর্বিত জাতি। আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যে রাষ্ট্রে থাকবে মানবিকতা, সাম্য, অপরের প্রতি মমত্ববোধ।অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পিএসও লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, রিয়ার এডমিরাল এম লোকমানুর রহমান, রিয়ার এডমিরাল মাহবুব-উল-ইসলাম, মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, এয়ার কমডোর রিয়াদাত হোসেন, উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম আলী আশরাফ উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews